সদকায়ে ফিতরের বিবরণ
এবছর ২০২৩ ইং মোতাবেক ১৪৪৪ হিজরীতে অত্র এলাকার (পোরশা , নওগাঁ) জন্য সদকায়ে ফিতরের সঠি কপরিমাণ নির্নয়
চলতি রমজানে জনপ্রতি সদকাতুল ফিতর সর্বনিম্ন ৮৫ ও সর্বোচ্চ ২৩০০ টাকা
عن ابى سعيد الخدرى رضى الله عنه كننخرج زكاة الفطر صاعا من طعام أو صاعا من شعير أو صاعا من تمر أو صاعا من أقط أو صاعا من زبيب- (رواه البخارى-رقم:506 ، رواه المسلم، رقم: 98)
অর্থ: হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাযি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে এক সা‘ রিমাণ খাদ্য (ভুট্টা), যব বা খেজুর অথবা এক সা‘ পরিমাণ পনির বা কিসমিস দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করতাম।(বুখারী,হাদীস নং- ১৫০৬, মুসলিম, হাদীস নং- ৯৮৫)।
ফিতরার পরিমাণ: খেজুর,কিসমিস, ভুট্টা, পনির এবং যবের ক্ষেত্রে এক সা‘(৩কেজি ২৭০গ্রাম) বা তার সমপরিমাণ টাকা এবং গম বা আটার ক্ষেত্রে অর্ধ সা‘(১ কেজি ৬৩৫ গ্রাম) বা তার সমপরিমাণ টাকা।
নিম্নেটাকারমাধ্যমেফিতরা আদায়ের সুবিধার্থে প্রচলিত দ্রব্যেও পরিমাণ ও তার মূল্য তালিকা দেয়া হলো।
ক্র.নং | পণ্য | পরিমাণ | কেজিতে পরিমাণ | কেজি প্রতি | সর্বমোট | আদায়ের সুবিধার্থে |
১ | গম | অর্র্ধ সা‘ | ১ কেজি ৬৩৫ গ্রাম | ৫০.০০ /- | ৮১.৭৫ /- | ৮৫.০০ /- |
২ | যব | এক সা‘ | ৩ কেজি ২৭০ গ্রাম | ৮৫.০০ /- | ২৭৭.৯৫ /- | ২৮০.০০ /- |
৩ | খেজুর | এক সা‘ | ৩ কেজি ২৭০ গ্রাম | ৩৫০.০০ /- | ১১৪৪.৪৫ /- | ১১৫০.০০ /- |
৪ | কিসমিস | এক সা‘ | ৩ কেজি ২৭০ গ্রাম | ৪০০.০০ /- | ১৩০৮.০০ /- | ১৩১০.০০ /- |
৫ | পনির | এক সা‘ | ৩ কেজি ২৭০ গ্রাম | ৬৯৫.০০ /- | ২২৭২.৬৫ /- | ২৩০০.০০ /- |
ফিতরার নিসাব: ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের সময় যার মালিকানায় মৌলিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা কিংবা এর সমমূল্য কোন সম্পদ বা টাকা (বর্তমান বাজার মূল্য অনুপাতে রুপাপ্র তিভরি১৫৫০ /- (একহাজার পাঁচশত পঞ্চাশ)টাকা করে ৮১,৩৭৫/-(একাশি হাজার তিনশত পঁচাত্তর) টাকা থাকে তাহলে তার উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হবে। আর যদি উক্ত মালের উপর পূর্ণ এক বছর অতিবাহিত হয়, তাহলে তার উপর যাকাত ওয়াজিব হবে।
উল্লেখ্য যে, যার কাছে শুধু স্বর্ণ আছে, তিনি স্বর্ণের নিসাব তথা সাড়ে সাত ভরি হিসেবে যাকাত আদায় করবেন। আর যার কাছে স্বর্ণ ও রুপা বা টাকা রয়েছে, সে রুপার নিসাবের মূল্য অনুপাতে যাকাত আদায় করবেন।
বি:দ্র: উপরোক্ত পন্য গুলোর মূল্য যদি আদায়ের সময় বেশী বা কম হয় তাহলে বাজার মোতাবেক সদকায়ে ফিতর আদায় করতে হবে। উল্লিখিত পরিমাণ কেবল নওগাঁ জেলার পোরশা এলাকার জন্য প্রযোজ্য। অন্য জেলার বাজার মূল্য এর চেয়ে কম-বেশি হলে উপর্যুক্ত পদ্ধতিতে হিসাব করতে হবে।
সংকলনে : মুফতীমাও. মুহা: মোস্তাফিজুররহমানসাহেব (কাসেমী)
সত্যায়নে: মুফতীমাও: মুহা: ফজলূলহকসাহেব
প্রচারে: ফাতওয়া ও ইসলামি আইন গবেষণা বিভাগ।