সদকাতুল ফিতর কি ও কেনো

শেয়ার করুন

সদকাতুল ফিতর কি?

সদকাতুল ফিতর ইসলামের একটি মুসলিম উৎসব যা রমজান মাসের শেষে পালন করা হয়। এটি দান-চারিত্রিক কাজ ও একটি সুখী পরিবার সৃষ্টি করে। সদকাতুল ফিতর ইসলামে অনেক গুরুত্ব রাখা হয়।

রমজান মাসের পর পালনকৃত রোজার পুর্ন পরিণতি হিসেবে মুসলিম সমাজে সদকাতুল ফিতর পালন করা হয়। এটি দান ও চারিত্রিক কাজ করার জন্য উৎসাহ দেয় এবং সমাজে একটি সামাজিক বন্ধন সৃষ্টি করে। সদকাতুল ফিতর একটি উৎসব যা সমাজের একটি অংশ হিসেবে গুরুত্ব রাখা হয়।

এটি মুসলিম সমাজে একটি উৎসব যা সম্পূর্ণ সমাজ কে আল্লাহর কাছে দান করার জন্য উৎসাহ দেয়। সদকাতুল ফিতর একটি উৎসব যা দান করার জন্য একটি সুযোগ এবং মুসলিম সমাজে একটি সামাজিক বন্ধন সৃষ্টি করে।

সদকাতুল ফিতর কেনো আদায় করতে হবে?

সদকাতুল ফিতর একটি বিশেষ দান যা রমজান মাসের শেষে পালন করা হয়। এটি মুসলিম সমাজে বরণ করার জন্য আদায় করা হয়। এটি একটি আদত এবং সুন্নত হিসেবে পরিচিত।

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, ইসলামের প্রবর্তনকাল থেকেই সদকাতুল ফিতর আদায় করা হয়ে আসছে। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, যে প্রত্যেকটি মুসলিম কে প্রত্যহিক রমজান মাসে একটি সাক্ষাতকার করতে হবে। এছাড়াও, হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে সদকাতুল ফিতর প্রত্যেকটি মুসলিমের জন্য আবশ্যক হয়, তাই সদকাতুল ফিতর পালন করা উচিত।

আরও একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, সদকাতুল ফিতর আদায় করার মাধ্যমে মুসলিমদের ধন, পরিবার এবং সমাজের দুর্বল ও দারিদ্র্যমুক্ত সদস্যদের প্রতি সহানুভূতি ও সহায়তা প্রকাশ করা হয়।

সদকাতুল ফিতর সম্পর্কে কয়েকটি হাদিস

সদকাতুল ফিতর একটি বিশেষ দান যা রমজান মাসের শেষে পালন করা হয়। ইসলামে এই দানটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়। নিচে কয়েকটি হাদিস উল্লেখ করা হলো যা সদকাতুল ফিতর সম্পর্কে বলা হয়েছে।

১। রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “সদকাতুল ফিতর হল রমজানের পরের জন্য একটি পুনরুত্থান যা জিহ্বা, কান ও হৃদয়ের পরিমাণ যে মুসলিম এর জন্য পরিবার করে তার জন্য আদায় করা উচিত।” (সহীহ বুখারী)

২। আবূ সাঈদ আল খুদরী (রা.) বলেছেন, “রসূলুল্লাহ (সা.) সদকাতুল ফিতর বয়ে দিতেন গান্ধর্বদন্ত (চাবি) এর পরিমাণ সমান।” (সুনান আবু দাউদ)

৩। তারিখ এবং হাদিস এর বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত নয় কিন্তু একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, রসূলুল্লাহ (সা.) সদকাতুল ফিতর পালন করার অনুমতি দেন

সদকাতুল ফিতর আদায়ের উপকারিতা

ইসলামে সদকাতুল ফিতর আদায় করার বিভিন্ন উপকার বর্ণিত আছে হাদিসে শরীফে। নিচে কিছু উদাহরণ উল্লেখ করা হলো:

১। রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “সদকাতুল ফিতর একটি পরিষ্কারতা যা যে ব্যক্তি তার ফরজ সম্পাদন করেছে সে জন্য হিসাব চুক্তির জন্য নেয়া হয়।” (সহীহ বুখারী)

২। রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “সদকাতুল ফিতর দিয়ে অব্যাহত হয়ে উঠবে এবং মুসলিমদের গর্ব করবে।” (সুনান আবু দাউদ)

৩। রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “সদকাতুল ফিতর হল সাদকা যা ধনী লোক দিয়ে মিতব্যস্ত হবে এবং দরিদ্র লোক সেই সাদকা দিয়ে দুটোই হবে সুখী।” (মুসনাদ আহমাদ)

সদকাতুল ফিতর একটি আদর্শমূলক প্রথম দান হিসেবে বিবেচিত হয় ইসলামে। এটি মানবিক এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর

সদকাতুল ফিতর আদায় না করলে কি হবে

সদকাতুল ফিতর আদায় না করলে প্রথমতঃ এটি একটি দায় অধিকার হিসাবে গণ্য হবে এবং আখেরাতের দিনে মানুষ অপরাধী হিসাবে প্রতিবাদ করতে হবে। হাদিসে বর্ণিত হচ্ছে, “যে ব্যক্তি সাহরী না করে উঠে যায়, তার উপর আল্লাহ ও মালাইক উদ্দেশ্যমূলকভাবে দুঃখ প্রদর্শন করে। আর যে ব্যক্তি সদকাতুল ফিতর না দেয়, তার উপর তাকাদদ আহসান ও তাবদিলি প্রতিবাদ হবে।” (সহীহ সুনান আবু দাউদ) সুতরাং সদকাতুল ফিতর না দেওয়া অপরাধকর হিসাবে বিবেচিত হবে এবং এর কারণে দুঃখ এবং প্রতিবাদ পেতে হবে।

উপসংহার

সদকাতুল ফিতর একটি আরবি শব্দ যা অর্থ করে “ফিতরের সদকা”। এটি একটি জরুরী ইসলামিক কর্তব্য যা মুসলিমদের রমজান মাসের শেষে প্রদান করতে হয়। সদকাতুল ফিতর হল একটি আর্থিক আবর্জনা যা সেহরীর পর ও ঈদ নামাজের আগে প্রদান করা হয়। এটি দরকারী সম্পদ প্রদান করে অসংখ্য গরীবদের জন্য যারা রোজা রাখতে অসমর্থ এবং এই সময়ে খাদ্য কেনা-বেচা করতে পারে না।

সদকাতুল ফিতর একটি উত্তম আদত এবং এটি ইসলামিক সমাজে একটি সামাজিক মান হিসাবে গণ্য করা হয়। এটি দরকারী সম্পদ প্রদান করে মুসলিম ভাই-বোনদের একটি পরিপূর্ণ ইবাদত হিসাবে বিবেচিত হয়। সদকাতুল ফিতর দেওয়ার সাথে সাথে মানুষের কাছে দোয়া করা হয় যাতে সকলের ইবাদত সম্পন্ন হয়। এটি দানের জন্য একটি অবদান


শেয়ার করুন
Scroll to Top